প্রিয়ার চাহনি

প্রিয়ার চাহনি (মে ২০১২)

ধ্রুব সরকার
  • ১৬
  • ২৩
সাতবছর আগে সেতুর সাথে আমার প্রথম পরিচয়। পরিচয় ঠিকানা, আমি ওকে দেখতে পাই। দেখতে বেশ মিষ্টি এবং প্রচুর লাজুক ছিল। লজ্জা টলমল চোখ দেখিয়ে দৌড়ে পালিয়ে ছিল সে-দিন। মুখ থেকে কোন কথা না বেরুলেও চোখ দেখে বুঝে নিয়ে ছিলাম অনেক কিছু। দারুণ power ছিল ওর চোখে, ভাষা বুঝবার। বোঝার ক্ষমতাটা হয়তো আমার বেশ ছিল।আর ওর ছিল কিশোরী মনের চঞ্চলা ভাব।ওর এখন যৌবন আর আমার সাংসারিক দায়ভার মেটাবার পালা। কিছুটা ভবঘুরে হলেও পরিণত মন আমার।প্রেম -ভালবাসা যাই বলি না কেন সে-টা পাওয়া বা অন্যকে ভালবাসা দু'টোতেই পরম প্রশান্তি।পরম বলতে এখানে প্রশান্তির শেষটানয় , শেষটা হয় মৃত্যুতে। হয়তো এই জন্যই প্রত্যেকে মৃত্যু অবধি ভালবাসতে চায়,অন্যের কাছ থেকে সেটা পেতে চায়। ভালবাসা এবং সে-টা পাওয়া, পরিমাণ হিসাবে বেশির ভাগটা ধ্বনিহীন ভাবে আদান প্রদান হয়। মাধ্যম হিসাবে চোখটাই প্রথমে আসে,মানে প্রেমিক বা প্রিয়ার 'চাহনি'। তাৎপর্য গত ভাবে এটা চোখের ভাষা। সে যাই হোক বলছিলাম ,সেতু চোখ দিয়ে কথা বলতে পারে। ওর সব ধরনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ চোখ থেকে হয়।হতেপারেমুখদিয়েকথাবলারৰমতাপুরোটাই স্থানান্তরিত করে শ্রোষ্ঠা ওর চোখে বসিয়ে দিয়েছেন।প্রথমবার অবশ্য আমি বুঝতে পারিনি যে সেতু কথা বলতে পারে না।পরে বুঝতে পেরেও আর খারাপ লাগেনি।কারণ সবাই যেটা নেই বলে জানে আমি সেটা ওর চোখে পেয়েছি।
গল্পটা নিছক ভালবাসার।যে-টা প্রথম দেখায় সেতু আমায় বলেছিল। [বলেছিল শুনে চমকাবেন না, আমি তো আগেই বলেছি সেতু চোখ দিয়ে কথা বলে] বলেই থেমে থাকেনি,ভালবাসতে শুরু করে দিয়েছিল নিজ অন্তে। আমার চোখ যেদিন সেতুকে বলেছিল,-'আমি তোমাকে ভালবাসি'। সেতুর চোখে সে-দিন ভরাপুর্ণিমা দেখেছিলাম,দেখেছিলাম ঝুমবৃষ্টি শেষে ঝকঝকে রৌদ্রজ্জল দিন।বুঝেছিলাম ভালবাসার জন্য কতটা কাঙ্গাল ছিল 'ও'।আর আমি পেয়েছিলাম নতুন এক পৃথিবী যার আকাশে কোন মেঘছিল না। মন চাইলেই বৃষ্টি হত,ভরাপুর্ণিমাহত।আমরা একসাথে ভিজতাম ইচ্ছা মত সেই বৃষ্টির জলে আবার ঝড়া জ্যোৎস্নায়। সেই দিনগুলোতেই রবিঠাকুরকে প্রথম আবিষ্কার করতে পেরেছিলাম,আমার মধ্যে।দরদ করতে শিখেছিলাম তার গানে,ভালবাসা অর্থবহ হয়ে ছিল তার কবিতায়।সবকিছু মিলিয়ে আমিই স্পষ্ট হয়েছিলাম দিন-দিন আমার কাছে। সেতুর চোখে,চোখের চাহনিতে এবং ভালবাসায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ কাব্যিক ঢঙে অনুপম রোমান্টিক গল্প। অনেক সুখপাঠ্য। ভাললাগা ও ভালবাসা রইলো।
প্রিয়ম অনেক বড় একটা গল্প কিন্তু অনেক অল্প করে প্রকাশ করা হয়েসে , ভালো বেশ ভালো |
আহমেদ সাবের একটা বোবা মেয়েকে ভালবাসার গল্প। ছোট্ট গল্প - তবু লেখকের উদাসীনতা পীড়া দেয় । দুর্বল বাক্য - যেমন, "পরিচয় ঠিকানা, আমি ওকে দেখতে পাই।", "দারুণ power ছিল ওর চোখে", বানান ভুল - শ্রোষ্ঠা ( স্রষ্টা ), ঝড়া (???) জ্যোৎস্নায়। একটু যত্ন নিলে লেখাটা একটা অসাধারণ গল্প হতে পারত।
মিলন বনিক "ওর এখন যৌবন আর আমার সাংসারিক দায়ভার মেটাবার পালা"...এভাবে নিজেকে সৃষ্টি করতে হবে..শেষের দিকে মন কারা সংলাপগুলো অসাধারণ...ভালো লাগলো...
আপনাদের মন্তব্যগুলো আমার প্রেরণা ..........ধন্যবাদ
সূর্য কাব্যিক একটা রেশ ছড়িয়ে আছে পুরো লেখায়। সুন্দর
মৃন্ময় মিজান ভাল লাগল আপনার লেখনী। আরো ভাল লিখুন এই প্রত্যাশা রইল।
M.A.HALIM সুন্দর। লিখার হাত খুব ভালো। আর একটু সময় দিতে পারলে পূর্ণতা পেত। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লাগলো। শুভ কামনা বন্ধুর জন্য।
আপনার জন্যও শুভকামনা .................
রোদের ছায়া আবেগে তো একদম ভেসে যাবার অবস্থা ...ভালো লাগলো... অনেক জায়গায় শব্দের মাঝে গ্যাপ নেই তাই বুঝতে সমস্যা হলো ,শব্দগুলোর মাঝে গ্যাপ দিতে হবে / প্রথম লাইনে পরিচয় ঠিকানা হবে না হবে পরিচয় ঠিক না .....
আপি, আমার বেখেয়াল বসত ভুল ..........আমি দুক্ষিত .
বিষণ্ন সুমন অনু গল্প হলেও একটা আবেদন ছিল । ভালো লাগলো ।

০৫ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪